Description
প্রতিদিন গোসল করার মূল উদ্দেশ্যে হল শরীরকে সতেজ রাখা এবং ত্বকের উপরিতলের যাবতীয় ময়লা পরিষ্কার করা। সারাদিন আমাদের ত্বকের উপরে ধুলো, বালি, ঘাম, তেল, ময়লা জমে। সেগুলো গোসলের সময় সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা দূর করতে পারি। ত্বক পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে সাবান ও বডি ওয়াশ দুটোই সমান কাজ করে। ভাল মানের সাবান ও বডি ওয়াশ ব্যবহার করলে কমবেশি একই উপকার পাওয়া যায়। এতে তেল, গিøসারিন ও অন্যান্য রাসায়নিক পণ্য থাকে যা ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
কিন্তু যখন ত্বকের স্বাস্থ্যের প্রশ্ন ওঠে সেখানে আপনাকে অবশ্যই সাবধানতা বজায় রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে সাবানের চেয়ে বডি ওয়াশ অনেক বেশি উপকারী। এমন অনেক সাবান রয়েছে যেগুলোতে ক্ষারের পরিমাণ বেশি। এই ধরনের সাবান ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি একই সাবান বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা ব্যবহার করেন, এতে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই দিক দিয়ে বডি ওয়াশ ত্বকের জন্য অনেক বেশি সুরক্ষিত।ত্বক শুধু পরিষ্কার করলেই হয় না। ত্বককে ভাল রাখার জন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করাও জরুরি।
এখানেও বডি ওয়াশ সাবানের তুলনায় এগিয়ে। বডি ওয়াশে ক্ষারের পরিমাণ কম থাকে এবং এতে গ্র্যানিউলস থাকে। এতে ত্বক এক্সফোলিয়েটও হয়ে যায় এবং ত্বকের মসৃণতা বজায় থাকে। অন্যদিকে, সাবান ত্বককে এক্সফোলিয়েট করলেও এতে ক্ষার থাকায় ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। তবে অ্যালোভেরা জেলের মতো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে সাবান তৈরি হলে এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে।
এখন বাজারে সুগন্ধি সাবান ও বডি ওয়াশ দুটোই পাওয়া যায়। তবু সুগন্ধের দিক দিয়ে এগিয়ে বডি ওয়াশ। স্নানের বেশ কয়েক ঘণ্টা পরও বডি ওয়াশের সুগন্ধ বজায় থাকে। সেই দিক বিচার করলে সাবানের গন্ধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। কিন্তু ত্বকের কথা মাথায় রেখে গোসলের সময় বডি ওয়াশ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে নানা ত্বকের সমস্যা এড়ানো যায় এবং ত্বকের কোমলতা বজায় থাকে।